ছাগল কাণ্ডের পর বিক্রি হয়নি কোটি টাকার ৬টি ব্রাহামা গরু!

ছাগল কাণ্ডের পর সাদিক এগ্রোর কোটি টাকা দাম হাকানো গরু বিক্রি হয়নি একটিও। অভিযোগ রয়েছে- ব্রাহামা জাতের আমেরিকান এসব গরু বাংলাদেশে নিষিদ্ধ থাকলেও প্রকাশ্যেই কেনা-বেচার হাট বসিয়েছিলেন এই এগ্রোর মালিক ইমরান।
অনুসন্ধানে জানা গেল- কাগজপত্র জালজালিয়াতির মাধ্যমে আমেরিকা থেকে অন্য জাতের গরুর কথা বলে ১৮টি ব্রাহামা গরু দেশে আনে সাদিক এগ্রো। কিন্তু কাস্টমসের কাছে ধরা পড়ে যায় তার জালিয়াতি। পরে সেই গরুগুলো পাঠানো হয় সাভার গো প্রজনন কেন্দ্রে। কিন্তু চলতি বছর আবারও জালিয়াতি করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সেই গুরুগুলো নিজের খামারে নিয়ে আসেন ইমরান। তবে গরুগুলো মাংস হিসেবে বিক্রির শর্তে তার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। যদিও ভাওতাবাজীর আশ্রয় নেওয়া ইমরান সেই গরুগুলো- জবাইকৃত মাংশ বিক্রি না করে হাটে তুলেছেন। যা আইনত অপরাধ হলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের।
ছাগল কাণ্ডের পর সাদিক এগ্রোর কি অবস্থা দেখতে গেলে- সেখানে দেখা যায়- আলোচিত সেই ছাগল এখনো রয়েছে খামারে। তবে খামারের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যেন মিডিয়ায় কথা না বলতে পারে সেজন্য তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ইমরান। তিনিও খামারে আসেন না, ফোনও ধরেন না। সহজেই বুঝা যাচ্ছে- মিডিয়া এডিয়ে চলছেন তারা।
মোহাম্মদপুরের বেডিবাধে সাদিক এগ্রোতে গিয়ে দেখা যায়- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের খালপাড়ের অংশে গড়ে উঠা জায়গায় বানানো হয়েছে খামার। তবে কর্মচারীদের দাবি- এটি ইমরানের নিজের জমি নয়। ভাড়া নিয়েছেন এই জায়গা।
কিন্তু স্থানীয়দের প্রশ্ন- খালের জায়গা ভাড়া নেওয়ার বিধান আছে কিনা। তার উপর খামারের গোবর খালে পড়তে পড়তে ভরাট হয়ে গেছে খাল। শতবর্ষী রামচন্দ্রপুর নামের ওই খালের অবস্থা এখন ড্রেনের মতো হয়ে গেছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: