• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নোয়াখালীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

ফন্ট সাইজ
নোয়াখালীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা

১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে দোকানে একটি চিঠি পাঠান অজ্ঞাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে দাবিকৃত ওই চাঁদা না পেয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারীর প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দিলেও চাঁদাদাবীকৃতদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী ও তাঁর পরিবার। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন আবুল বাশার পাটোয়ারী।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল বাশার পাটোয়ারী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি আমিশাড়া বাজারে আসবাবপত্রের (ফার্নিচার) ও হার্ডওয়ার সামগ্রীর ব্যবসা করে আসছেন। গত রমজান মাস শুরুর চার-পাঁচদিন আগে দোকানের সার্টার খুলে দেখেন ভেতরে একটি চিঠি। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চিঠি পাওয়ার পর তিনি বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবহিত করে রাখেন।

সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁর দোকানের তিনটি সার্টারে তিনটি তালা মেরে দেয়। পরদিন সকালে তিনি দোকানে গিয়ে তালা মারা দেখে এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখেন আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল তাঁর সহযোগীদের নিয়ে দোকানে তালা দিয়েছেন। পরে পুলিশ কামালকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। কিন্তু পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরপর থেকে কামাল হোসেন তাঁকে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে মো. কামাল বলেন, তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন এটা যেহেতু তারা সিসিটিভির ফুটেজে দেখেছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তবে আবুল বাশার পাটোয়ারীদের সঙ্গে পারিবরিক বিষয় নিয়ে পূর্বের বিরোধ রয়েছে। তাদের দায়ের করা একটি মামলায় ২০০৯ সালে তিনি কারাগারে ছিলেন। ওই বিরোধের জেরে ক্ষোভ থেকে তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন বলেও জানান। 

এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আগামিতে তিনি আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আবুল বাশারের পূর্ব বিরোধ ও মামলা মকদ্দমা রয়েছে। আবুল বাশার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু মামলার অভিযোগের বর্ণনায় একটি অংশ নিয়ে তাঁর আপত্তি থাকায় সেটি আর মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি। পরে ওই ব্যক্তিকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন: