খুলনা মেডিকেল থেকে নবজাতক চুরি, ২৩ দিনপর সন্ধান মিললো নড়াইলে

মায়ের কোলে উদ্ধার নবজাতক
খুলনা মেডেকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে ২৩ দিন পর নড়াইল থেকে উদ্ধার করা করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাড়বিষ্ণুপুরের এক কৃষকের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তবে নবজাতককে চুরি করায় অভিযুক্ত সেই নারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সোনাডাঙ্গা থানার এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ তোফু বলেন, ‘সোর্স মারফত আমরা খবর পেয়ে শিশুটিকে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাড়বিষ্ণুপুর এলাকার রাশেদ মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া রানু খানম এবং লালন মোল্লা দম্পত্তির কাছ থেকে শিশুটি উদ্ধার হয়। ১২ বছর আগে এই দম্পতির বিয়ে হয়েছে। তাদের কোনও সন্তান নেই। শিশুটির সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। শিশুটিকে তারা এক লাখ ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঢাকা থেকে কিনেছেন বলে জানালেও তা বিশ্বাস হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘লালন মোল্লা পেশায় একজন কৃষক। শিশুটিকে কিনতে যে টাকা দিয়েছেন সেটি দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। শিশুটি কীভাবে নড়াইল গেলো এবং কার কাছ থেকে কিনেছে তা জানার জন্য ওই দম্পতি থানা হেফজতে রয়েছে।’
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ‘নবজাতক চুরির ঘটনায় শিশুর বাবা পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ ১০ জনের নামে মামলা করেন। মামলায় ৫ জন কারাগারে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুটি খুলনা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে রয়েছে। তবে ঘটনার জন্য যে দায়ী নারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
নবজাতকের মা রানিমা বেগম জানান, ২৪ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। দুপুরে তিনি সুস্থ সন্তান জন্ম দেন। বিকাল ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তারা ছাড়পত্র নিয়ে বাগেরহাট ফকিরহাটে বাড়িতে যাওয়ার জন্য খুলনা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের গেটে আসেন। এ সময় নবজাতকের বাবা তুরাব আলি ও আত্মীয়-স্বজন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা নিয়ে কথা বলছিলেন। অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও রোগীর স্বজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় নবজাতকটি ছিল তার খালার কোলে। হাতাহাতি ঠেকাতে তিনি কোলের নবজাতককে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারীর কাছে দেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে দেখেন ওই নারী নেই।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: