ক`টি ক্যামেরার মাধ্যমে বিশ্বে পৌঁছাচ্ছে ফাইনাল? থাকল বিস্তারিত

আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ এর ফাইনাল ম্যাচে ২৪০ রানে ভারতকে অলআউট করলো অস্ট্রেলিয়া। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। টিভিতে খেলা দেখলে অনেক কোণ থেকে উপভোগ করতে পারবেন এই ম্যাচ। জানেন একটি ম্যাচে কতগুলি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়? আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে অনেক ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।
ক'টি ক্যামেরা থাকে?
বাইরের ব্রডকাস্টিং স্টুডিওর জন্য ৭ টি ক্যামেরা
ফিল্ড প্লে কভার করার জন্য থাকে ১২টি ক্যামেরা
৬টি হক আই ক্যামেরা
৪টি ক্যামেরা রান-আউট ভিডিও ক্যাপচার করতে
২টি ক্যামেরা স্ট্রাইক জোন ক্যাপচার করতে
৪ স্টাম্প ক্যামেরা
১ প্রেজেন্টেশন ক্যামেরা
পেশাদার ম্যাচে অনেক ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এগুলির প্রত্যেকটির কাজ আলাদা। অভিজ্ঞ ক্যামেরাম্যান ছাড়া এই ধরনের ম্যাচে কাজ করা যায় না। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ক্যামেরা কী ছবি আমাদের সামনে নিয়ে আসে।
কোন ক্যামেরা কী কাজে লাগে?
বাউন্ডারি ক্যামেরা: বাউন্ডারির কাছাকাছি এই ক্যামেরাগুলো দেখা যায়। ফিল্ডিং অ্যাকশনের ক্লোজ-আপ শটের জন্য এ গুলো ব্যবহার করা হয়। বাউন্ডারি হয়েছে কিনা তা দেখতেও অনেক সময় থার্ড আম্পায়ার এই ক্যামেরা ব্যবহার করেন।
স্টাম্প ক্যামেরা: এগুলি স্টাম্পের মাঝখানে ইনস্টল করা হয়। এ গুলি বোলার, ব্যাটার এবং উইকেটকিপার সম্পর্কিত বিশেষ তথ্য সরবরাহ করে। এর সাহায্যেই আমরা স্টাম্পের কাছাকাছি স্লো মোশন রিপ্লে দেখতে পাই। থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্পাইডার ক্যামেরা: মাঠের মধ্যে দড়ি দিয়ে উপরের দিকে বাধা ক্যামেরাটি স্পাইডার ক্যাম। এই ক্যামেরাগুলো থেকে ডায়নামিক এরিয়াল শট পাওয়া যায়।
আল্ট্রা স্লো: মোশন ক্যামেরা হাই স্পিড ক্যামেরা উচ্চ ফ্রেম রেটে যেকোনো মুভমেন্ট ক্যাপচার করে। তাদের সাহায্যে, স্লো মোশন রিপ্লে বিব পাওয়া যায়, যার সাহায্যে দর্শকরা ম্যাচের অনেক দিক দেখার সুযোগ পান।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: