তীরে গিয়ে তরী ডুবলো বাংলাদেশের

বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের বেলায় তীরে গিয়ে তরী ডোবার ঘটনা দেখা যায় হরহামেশাই। জেতার সুযোগ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য হেরে যাওয়ার এ মিছিলে এবার যোগ দিলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলও। তাও কি না বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৪০ রানে আটকে ফেলে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৪৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে ১৩৬ রানে। ফলে ৪ রানের রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরআগে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১৪১ রানের তাড়ায় ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই শূন্য রানে ফেরেন ওপেনার শামিমা সুলতানা। ম্যাথিউসের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর অপর ওপেনার শারমিন, টপঅর্ডার ব্যাটার ফারজানা ও অধিনায়ক নিগার সুলতানার যথাক্রমে ১৭, ২৩ ও ২৫ রানের সুবাদে কোনোমতে বিপদ কাটিয়ে ওঠে টাইগ্রেসরা।
কিন্তু ম্যাথিউস ও ফ্লেচার এ তিনজনকে ফিরিয়ে দিলে ফের চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ফ্লেচারর দুর্দান্ত এক ওভারে শূন্য হাতে ফেরেন রোমানা আহমেত ও রিতু মনি। এরপর দলকে একাই টেনে নিয়ে যেতে থাকেন অভিজ্ঞ সালমা খাতুন। তবে বেশিদূর পারেননি। টেইলরের বলে আউট হওয়ার আগে তার ইনিংস থামে ৪০ বলে ২৩ রান করে। সালমার আউটের পর বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩৯ বলে ৩০ রানের। লক্ষ্যটা অতো কঠিন ছিল না। কিন্তু ব্যাটারদের অভাবে সে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ৬৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন নাহিদা।
মোটামুটি সহজ লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে ম্যাথিউজ-ফ্লেচারেই কুপোকাত হয়েছেন টাইগ্রেসরা। ১০ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ম্যাথিউজ। অন্যদিকে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ফ্লেচার। তবে ম্যাচ জয়ের নায়ক বলা যায় টেইলরকে।
বিভি/এনএম
মন্তব্য করুন: