বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনলো দ.আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শুরুটা জয় দিয়ে হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে টপঅর্ডারদের ব্যর্থতায় আসেনি বড় সংগ্রহ। ১৯৫ রানের মামুলি টার্গেট ছুড়ে দিয়েছিল স্বাগতিকদের। ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।
৭ উইকেটের জয়ে দুই ম্যাচ শেষে ১-১ এ সমতায় রয়েছে দু’দল। সিরিজের শেষ ম্যাচ এখন অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে। সেঞ্চুরিয়নে আগামী বুধবার (২৩ মার্চ) তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা।
জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। টপঅর্ডারের ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১০৭ বলে ৭২ রানের ঝলমলে একটা ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন। মিরাজকে নিয়ে গড়েন রেকর্ড ৮৬ রানের জুটি।
আফিফ ছাড়া মিরাজ ৩৮ ও মাহমুদউল্লাহ ২৫ রান করেন। বাকিদের মধ্যে লিটন ১৫ ও মুশফিক ১১ রান করেন। সাকিবের ব্যাটে আজ কোনো রান আসেনি।
স্বাগতিকদের পক্ষে কাগিসো রাবাদা একাই শিকার করেন ৫টি উইকেট। লুঙ্গি এনগিদি, তাবরাইজ শামসি, ওয়াইন পারনেল ও ভ্যান ডার ডুসেন একটি করে উইকেট নেন।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আগের ম্যাচে না খেলা কুইন্টন ডি কক। ঝড়ো ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেয়ার পথে জানেমান মালানকে নিয়ে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। ৪১ বলে ৬২ রান করে সাকিবের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডি কক। এর আগে মালানকে (২৬) ফিরিয়ে মিরাজ ভাঙেন ওপেনিং জুটি।
পরে জয় থেকে ১৯ রান দূরে থাকার সময় আফিফের বলে শরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (৩৭)। কাইলি ভ্যারানে ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল, তাসকিন কিংবা মুস্তাফিজ কোনো উইকেটের দেখা পাননি। ৫ উইকেট শিকার করা রাবাদা ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: