মিরাজ-তাসকিনের পর সাফল্য পেলেন সাকিব-শরিফুলও

বোলিংয়ের পর শরিফুলের প্রতিক্রিয়া
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দারুণ শুরু করেছে টাইগাররা। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে চেপে ধরেছে স্বাগতিকদের। দলীয় শতরানের আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন টাইগার বোলাররা।
মিরাজের একটি উইকেটের পর তাসকিন নেন দুটি উইকেট। এরপর বল হাতে সাফল্যের মুখ দেখেন সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলামও।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। ডেভিড মিলার (৭) ও ডুইয়ান প্রিটোরিয়াস ৩() রানে ক্রিজ আছেন।
বুধবার (২৩ মার্চ) সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হয়েছে। ব্যাটিংয়ে নেমে দেখেশুনে শুরু করেছিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক। কিন্তু এই জুটিকে ভেঙে সাফল্য এনে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। পরে টাইগার শিবিরকে পরে আবারও দু’বার উল্লাসে মাতার সুযোগ করে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
নিজের দ্বিতীয় ও দলের সপ্তম ওভারের ৫ম বলে ডি কককে তুলে নেন মিরাজ। মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৮ বলে ১২ রান করেন তিনি। এরপর কেইলি ভ্যারানেকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরান তাসকিন। ফেরার আগে ২০ রানের জুটি গড়ার পথে নিজে করেন ৯টি রান। এরপরের ওভারে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা জানেমান মালানকে ফেরান এই পেসার। মালান ফেরার আগে ৫৬ বলে ৩৯ রান করেন।
এরপর প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমাকে (২) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে পাঠান সাজঘরে। এরপরে আঘাতে আসেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই ভ্যান ডার ডুসেনকে (৪) মিরাজের হাতে ক্যাচ বানান এই তরুণ তুর্কি।
এর আগে সিরিজ জয়ের লড়াইয়ে নামার আগে টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় জয়লাভ করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ফলে শুরুতে ফিল্ডিং করতে হচ্ছে তামিমদের।
তিন ম্যাচ সিরিজের দুটি ম্যাচ শেষে এক-এক সমতা রয়েছে সিরিজের। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃতীয় ম্যাচ সেঞ্চুরিয়নে হওয়ায় জয়ের আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হওয়ায় এটা রূপ নিয়েছে অঘোষিত ফাইনালে।
এদিকে দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পুরো পরিবার অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও দলের সাথে থেকে খেলছেন তৃতীয় ওয়ানডে। মিশন একটাই প্রোটিয়াবধ। সাকিবের এই ত্যাগটা হয়ত পুরো দলকে উজ্জীবিত করবে। তাছাড়া প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়কও তিনিই।
বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসিকন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ : জানেমান মালান, কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমা, কাইলি ভ্যারানে, র্যাসি ভ্যান ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, ডুইয়ান প্রিটোরিয়াস, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদ, তাবরিজ শামসি, লুঙ্গি এনগিদি
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: