ইতিহাস লেখার দিনে পয়ত্রিশে পা দিলেন সাকিব

সাকিব আল হাসান
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ এ জিতে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছে টাইগাররা। আর এই উদযাপনের আনন্দ আরও বেড়েছে সাকিবের জন্য। কেননা জয়োৎসবের পর সবার মনে হয়েছে আজ সাকিবের জন্মদিন।
১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ জন্ম নেন মাগুরার ফায়সাল, ড্রেসিংরুমের ময়না আর বাংলাদেশের সাকিব। ক্রিকেটার হিসেবে যে যাত্রা শুরুই হত না নাম্বার সেভেন্টি ফাইভের। সাকিবের পছন্দ ছিল ফুটবল। খেলতেনও তা। পাড়ায় একদিন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে একজন আম্পায়ারের চোখে পড়েন। সেখান থেকে বিকেএসপি-বয়সভিত্তিক হয়ে জাতীয় দলে ডাক পান ২০০৬ সালে।
ওই যে শুরু। সাকিব ছুটেছেন নিজস্ব গতিতে। তার নেতৃত্বে দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতে টাইগাররা। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি-- তিন ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা ক্রিকেটার হন বাংলাদেশের পোস্টার বয়।
এশিয়া কাপের ফাইনালে তার কান্না। অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটে-বলে একাই হারিয়ে দেয়া। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে একাকি লড়ে যাওয়া কিংবা ইংল্যান্ডকে দেশের মাটিতে টেস্টে হারানোর পর তার স্যালুট। সবকিছুই যে বলে দেয় মাথা নোয়াবার নয়। ওয়ানম্যান আর্মি হয়ে দেশকে জিতিয়েছেন বহুবার। ৫ ফুট নয় ইঞ্চির মানুষটা যে তখনো দমে যাননি। তার স্বপ্ন যে আকাশছোঁয়া।
দেশের হয়ে রেকর্ডবুকের কোন পাতায় নেই সাকিব তা খুঁজে পাওয়াই যেন দুষ্কর। বেস্ট বোলিং ফিগার, সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ উইকেট- সব বিভাগেই প্রথম তিন জনের একজন সাকিব। সারা বিশ্বের প্রায় সব ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলা একমাত্র বাংলাদেশী। তবে সাকিব আলাদা ভাবে আলোচনায় ক্যারিয়ার জুড়ে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে। নিষিদ্ধ হয়েছেন। তবে সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটেছেন মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে।
২০১২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শিশিরের সঙ্গে। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে সাজানো সংসার তাদের। চাঁদের কলঙ্ক বাদ দিলে সবকিছু ধবধবে সাদা। বিতর্ক ছাড়া সাকিবও এমনটাই। বাংলাদেশের অনেক কিছুর প্রথম তার হাত ধরে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: