বাংলাদেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিলেন মুশফিক ও লিটন

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন ধসিয়ে দিচ্ছেন কেশব মহারাজ।
ইতিহাসের হাতছানি এখন রূপ নিতে যাচ্ছে লজ্জায়। ২৭৪ রানের লক্ষ্য পেরোতে গিয়ে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে বাংলাদেশ। কেননা চতুর্থদিনে ১১ রান তুলতে ৩ উইকেট হারানোর পর শেষদিনে ক্রিজে নেমেই দলকে বিপদে ফেলেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চমদিনের প্রথম ওভারেই কোনো রান না করে ফিরে যান মুশফিক।
এরপর ক্রিজে এসে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ খুঁজে নেন আগের ইনিংসে জয়কে সঙ্গ দেয়া লিটন দাস। ফেরার আগে ৬টি বল খেলে ২টি রান যোগ করেছেন লিটন। দুটি উইকেটই শিকার করেছেন কেশব মহারাজ। মুশফিককে ফেলেছেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। আর লিটন ফিরেছেন হারমারের হাতে রিটার্ন দিয়ে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভার খেলে ২২ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত (১৩) ও ইয়াসির আলী (১) ক্রিজে আছেন। জয় থেকে এখনো ২৫২ রান দূরে বাংলাদেশ।
এর আগে ডারবানের কিংসমেডে চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দলকে একাই টেনে নিয়েছিলেন যে তরুণ ওপেনার, দ্বিতীয় ইনিংসে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। তারও আগে সাজঘরে ফিরেছেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। দুই ওপেনারের সঙ্গে ফিরেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। আলো স্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের আগে চতুর্থ দিনের যবনিকা টানেন আম্পায়াররা।
ডারবানে চতুর্থদিন সকালে স্যারেল এরইউকে নিয়ে ক্রিজে নামেন প্রোটিয়া দলনায়ক ডিন এলগার। তবে খুব বেশি রানের জুটি বাধতে পারেননি এ দুজন। ৪৮ রানেই এই জুটিতে থামিয়ে দেন প্রথম ইনিংসের নায়ক এবাদত হোসেন। লাঞ্চ বিরতির পর ক্রিজে নেমে ১১ রান যোগ করতেই ফিরে যান এলগার (৬৪)। এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা কেগার পিটারসেন (৩৬)।
এরপর প্রোটিয়া শিবিরে আবারও আঘাত হানেন এবাদত হোসেন। রানের চাকা ঘোরানোর আগেই স্লিপে থাকা ইয়াসির আলীর হাতে তালুবন্দী হন টেম্বা বাভুমা (৪)। পরে ভারানেকে (৬) সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ বানান মিরাজ। ওয়াইন মুলডার (১১) এসে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে চাইলেও মিরাজের বলে ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। এরপর কেশব মহারাজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। পরে হারমান ও উইলিয়ামস ফিরে যান রান আউট হয়ে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা ডুয়াইন অলিভেয়ারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন এবাদত। টাইগারদের হয়ে মিরাজ ও এবাদত ৩টি করে এবং তাসকিন ২টি উইকেট নেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৬৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে মাহমুদুল হাসান জয়ের ঐতিহাসিক ১৩৭ রানে ভর করে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৯৮ রান। ৬৯ রানের লিড পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। তবে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে আলো স্বল্পতা আর বৃষ্টির কারণে ৪ ওভারের বেশি খেলা সম্ভব হয়নি।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: