বাংলাদেশের খেলার অভ্যস্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এলগার

ডারবান টেস্টে লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচ শেষে মুমিনুল হক অভিযোগ তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে। স্লেজিং বা গালাগালি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন মুমিনুল। দ্বিতীয় ম্যাচের আগের দিন দক্ষিণ আফ্রিকার দলনায়ক ডিন এলগার বললেন ভিন্ন কথা।
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগার অবশ্য বাংলাদেশের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলছেন। উল্টো দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের স্লেজিংয়ের জবাবেই নাকি স্লেজিং করেছিল। আজ টেস্টের আগের দিন অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এলগারকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘তাদের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের নিয়ে ওরা যা বলেছে…। দেখুন, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলি। যদি কিছু হয়েও থাকে, সেটি আমরা ওদের ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। কারণ, আমরা যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখন আমরাও স্লেজিংয়ের শিকার হয়েছি।’
তবে দুই পক্ষের কথার যুদ্ধে কেউ সীমা লঙ্ঘন করেনি। এলগারের কথায়, ‘আমরা খারাপ ভাষায় কথা বলিনি। খেলোয়াড়দের প্রতি আমার গৌরব ধরে রাখার বার্তা ছিল। আমাদের সম্মানহানি হোক এমন কিছু করতে চাইনি। আমি খুব বাজে কোনো স্লেজিং হতে দেখিনি। ওদের পক্ষ থেকেও দেখিনি। আমি মনে করি এটাই টেস্ট ক্রিকেট।’
শুধু কি তাই! বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলার অভ্যস্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলগার। বাংলাদেশকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এটাই টেস্ট ক্রিকেট। খেলাটাই হয় পুরুষ আবহে। আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেটই খেলতে চাইব। এর মানে এই নয় যে আমরা গালিগালাজ করব, বাজে ভাষায় কথা বলব। কারণ, আমরা তাদের সম্মান করি। আমরা শুধু ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম কারণ আমাদেরও স্লেজিং করা হয়েছে। আমার মনে হয় ওদের আরও কঠোর হওয়া উচিত। হয়তো ওরা এ পর্যায়ে খেলার জন্য অতটা অভ্যস্ত নয়।’
এলগারের এই প্রতি-আক্রমণ প্রসঙ্গে মুমিনুলকেও প্রশ্ন করা হয়। মুমিনুল অবশ্য নতুন করে বিতর্কে ঘি ঢালতে চাননি। তিনি বলছিলেন, আমি স্লেজিং নিয়ে কোনো অভিযোগ করিনি। কারণ, ক্রিকেটে স্লেজিং হবেই। এটা মেনে নিতেই হবে। এটাকে সহজভাবে নিতে হবে। আমি এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করিনি। আপনি হয়তো ভুল শুনেছেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: