পোর্ট এলিজাবেথে প্রতিরোধের প্রচেষ্টা মুশফিক-ইয়াসিরের

নান্দনিক ইনিংস খেলে ৪০ রানে ক্রিজে আছেন ইয়াসির। ছবি : ক্রিকইনফো
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পোর্ট এলিজাবেথে প্রতিরোধ গড়ার প্রচেষ্টা করছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীর ব্যাটে ঘরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে টাইগাররা। কেননা দ্বিতীয় দিনেই ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়েছিল মুমিনুলবাহিনী।
৩১৪ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছেন মুশফিক-ইয়াসির। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৫৩ ওভার ব্যাটি করেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে এখনো বিপদ ঘটতে দেননি মুশফিক ও ইয়াসির। ৫ উইকেটে রান এসেছে ১৮২। মুশফিক ৩৮ ও ইয়াসির ৪০ রানে ক্রিজে আছেন। এই জুটি থেকে ইতিমধ্যে ৬০ রান যোগ হয়েছে।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। বল হাতে ম্যাড়মেড়ে ছিল টাইগার বোলাররা। ব্যাট হাতেও একেবারে অনুজ্জ্বল সবাই। এবাদত, খালেদ, মিরাজ ও তাইজুলদের মোকাবেলা করে ৪৫৩ রান তুলেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষবেলায় ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ রান তুলেছিল মাত্র ১৩৯।
আরও পড়ুন:
- ম্যাড়মেড়ে বোলিংয়ের পর মুমিনুলদের জীর্ণশীর্ণ ব্যাটিংয়ে দিন পার
- ম্যাচ হেরে রেগে সমর্থকের ফোন ভাঙ্গলেন রোনালদো
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কোনো টেস্ট সিরিজেই প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। আজও ব্যাটিংয়ে সেই পুরোনো চেহারা ফুটে উঠেছে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হাসান শান্ত। তবে এই জুটি ভাঙার পর বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। সেই বিপদ কাটানোর চেষ্টায় জুটি বেধেছিলেন মুশফিক ও মুমিনুল। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। একে একে সবাই সাজ ঘরে ফেরেন।
শুরুতে পেসার অলিভিয়েরের বল জয়ের ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে। দুই বল খেলেও শূন্য রানে ফেরেন প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান। এরপর ৭৯ রানের জুটি গড়েন তামিম-শান্ত। ফিফটি বঞ্চিত হয়ে তামিম (৪৭) ফেরার পরপরই ফিরে যান শান্তও (৩৩)। মুশফিকের সাথে ১৫ রানের ছোট্ট জুটি গড়ে ফিরে যান দলনায়ক মুমিনুল (৬)। পরে লিটনকে নিয়ে দলীয় ২২ রান যোগ করেন মুশি। লিটন ফেরেন ১১ রানে।
স্বাগতিকদের হয়ে ওয়াইন মুল্ডার তিন ব্যাটসম্যান তামিম, শান্ত ও মুমিনুলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। বাকি দুই উইকেট পেসার অলিভিয়েরার। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান তোলে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: