চট্টগ্রাম টেস্ট: ১৫ ওভার বাকি থাকতেই ড্র মেনে নিলো দু’দল

চট্টগ্রাম টেস্ট যখন ড্র ঘোষণা করা হলো- তখনও দিনের ১৫ ওভার খেলা বাকি ছিল। কিন্তু লঙ্কান ব্যাটারদের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে দিনপার করাই ছিল লক্ষ্য। এবং ২০০ পেরোনো লক্ষ্যমাত্র ছোঁয়া কিংবা অলআউট হওয়ার ভাবনাটা একেবারেই অলীক। তাই আগেভাগে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন দু’দলের ক্রিকেটাররা।
এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে দুটি এবং পঞ্চমদিনের প্রথম সেশনে দুটি উইকেট তুলে একটু আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর লাঞ্চ ব্রেকের পর তাইজুলের আরও দুই উইকেট নিয়ে যায় সম্ভাবনার দিকে। কিন্তু এরপর দিনেশ চান্দিমাল ও নিরোশান ডিকওয়েলার দাঁতে দাঁত চেপে করা লড়াইয়ে বাংলাদেশের সব আশা নিভে যায়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন দুই উইকেট হারিয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে ছিল সফরকারীরা। মুমিনুল বাহিনীর লক্ষ্যও ছিল শেষ দিন দ্বিতীয় সেশনের মধ্যে লঙ্কানদের আটকে দেওয়া। কিন্তু সে পরিকল্পনা ভেস্তে দেন চান্তিমাল এবং ডিকওয়েলা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানরা টস জিতে ব্যাট করে ৩৯৭ রান তোলে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করেন অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। প্রথম ইনিংসে লঙ্কান টপ অর্ডার ব্যাটার কুশল মেন্ডিস (৫৪) ও দিনেশ চান্দিমাল (৬৬) ফিফটি তুলে নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে ৪৬৫ রান করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল খেলেন ১৩৩ রানের ইনিংস। প্রচণ্ড গরমে হাতে ক্রাম্প করায় রিটায়ার্ড হয়ে উঠে যান তিনি। পরদিন ব্যাটে নামলেও ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরিটা সামনে এগিয়ে নিতে পারেননি।
মুশফিক খেলেন ১০৫ রানের ইনিংস। ধৈর্যর দুর্দান্ত পরীক্ষা দেন তিনি। মাত্র চারটি চারের মারে তিনশ’ ছোঁয়া বল খেলে সেঞ্চুরির আগে দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে পাঁচ হাজার রানের কীর্তি গড়েন ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এছাড়া তরুণ ওপেনার জয় খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির পথে থাকা লিটন দাস ৮৮ রান করে ফিরে যান।
বল হাতে প্রথম ইনিংসে নাঈম হাসান ৬টি এবং সাকিব আল হাসান ৩টি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টির মধ্যে ৪টিই নেন তাইজুল আর একটি নেন সাকিব। বাকিটা ছিল রান আউট।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: