রাত একটায় হলুদ জার্সির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে আর্জেন্টিনা

হলুদ জার্সি মানেই যেন ব্রাজিল। আর ব্রাজিলের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ম্যাচ মানেই অন্যরকম দ্বৈরথ, টানটান উত্তেজনা আর চির বৈরীতা। হলুদ জার্সিধারীদেরকে ব্রাজিল ভাবার কোনো কারণ নেই। কেননা আজকের ম্যাচে লিওনেল মেসিদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
কাতার বিশ্বকাপে আজ থেকে শুরু জমজমাট নকআউট পর্বের লড়াই। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার শেষ ষোলোয় জায়গা পাওয়া অস্ট্রেলিয়া। আল রায়ানের আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় মাঠে গড়াবে নকআউট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচটি।
দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যর্থতা ঘুঁচিয়ে গত বছর মেসি আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকা জেতানোর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে তার অগুনতি ভক্ত-সমর্থকরা চোখ রেখেছে কাতার বিশ্বকাপের দিকে। তাদের বিশ্বাস, মেসি এবার আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বিশ্বকাপটাও এনে দেবেন।
তবে এই বিশ্বাসের পথে হাঁটতে আজ তাদের লড়তে হবে হলুদ জার্সিধারী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। যদিও অনেকেই হলুদ জার্সিধারীর কথা শুনে অনেকেই ভাবছেন ব্রাজিলের কথা। কিন্তু না, দলটি হলো এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা অস্ট্রেলিয়া। হলুদ জার্সির মধ্যে ব্রাজিলের সমর্থকরা নিজেদের দল খুঁজে নেবে।
বিশ্বাস, খোদ আর্জেন্টিনা দলের কোচ এবং মেসির সতীর্থ খেলোয়াড়দেরও। তাই তো শুরুর ব্যর্থতা ঘুঁচিয়ে দুই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্বে ১৯৭৮ ও '৮৬-র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১'এ হারের ধাক্কা কাটিয়ে পরের দুই ম্যাচে কেবল জয় নয়, সমর্থকদের মনটাও জিতে নিয়েছেন মেসি, ডি মারিয়া, লাউতারো মার্তিনেসরা। মেক্সিকোকে ২-০'তে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার পর শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডকে একবিন্দু ছাড় দেয়নি লিওনেল স্কালোনির দল। মেসির পেনাল্টি মিসের সঙ্গে কমপক্ষে চারটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে জয় মেলে ২-০'তে।
ফুটবলের ঐতিহ্য-শক্তি-সামর্থ, সব দিক থেকেই অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে যোজন-যোজন এগিয়ে আর্জেন্টিনা। কিন্তু এই ব্যবধান যে সবসময় কাজে দেয় না, তা এবারের আসরসহ বিশ্বকাপে বারবার দেখেছে ফুটবলপ্রেমীরা। আর সকারুরা সেই দল, যারা ১৯৮৮ সালে প্রথম দেখায় দক্ষিণ আমেরিকার পরাশক্তিদের ৪-১'এ উড়িয়ে দিয়েছিলো। সেই ম্যাচ বাদ দিলে ছয় সাক্ষাতের পাঁচটি জিতে ও অন্যটি ড্র করে একতরফাই এগিয়ে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে প্রথমবার প্রতিপক্ষের সাক্ষাত পাচ্ছে লা আলবিসেলেস্তেরা।
অস্ট্রেলিয়া এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পার হলো গ্রুপ পর্ব। ১৯৭৪ সালে বিশ্বমঞ্চে প্রথম অংশ নিয়ে পরের সাতটি আসর খেলা হয়নি সকারুদের। তবে ২০০৬ সালে ফিরে টানা খেলছে ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে সুযোগ পাওয়া দলটি। ২০০৬-এ আরেকবার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিলো তারা।
এবার 'ডি' গ্রুপে ডিফেন্ডিং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের পেছনে থেকে শেষ ষোলোর টিকেট পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে ফরাসিদের সঙ্গে পয়েন্টটাও সমান দুই জয়ে সমান ৬ পয়েন্ট করে নিয়েছে। গোল ব্যবধানে হারাতে হয়েছে গ্রুপ সেরার মর্যাদা। ফ্রান্সের কাছে ৪-১'এ বিধ্বস্ত হয়ে তিউনিয়াকে ১-০'তেই হারায় তাসমান সাগর পাড়ের দেশটি।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: