কাতারের গ্যালারিতে বিপরীতধর্মী দর্শকে মুগ্ধ বিশ্ব

সামনে বোরকা পরা আরব সংস্কৃতির তরুণীরা। আর পেছনে আবেদনময়ী ইভানা
কাতারের সংস্কৃতিকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন ক্রোয়েশিয়ার এক তরুণী। বিশ্বকাপে নিজ দেশকে সমর্থন দিতে তিনি নিয়মিত হাজির হচ্ছেন মাঠে। কিন্তু মাঠে তার উপস্থিতি যেন একেবারেই আরব সংস্কৃতির বিপরীত দিক। তবে তাতেও মুগ্ধ হচ্ছেন অনেকে।
ব্রাজিলকে হারিয়ে যে ম্যাচে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ক্রোয়েশিয়া ওই ম্যাচেও আলোচনার টেবিলে উঠে এসেছে কাতারের গ্যালারিতে এক ক্রোয়াট সুন্দরীর উপস্থিতি। নেট দুনিয়ায় তাকে কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে ‘আবেদনময়ী’ ভক্ত হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
যদিও এবারের বিশ্বকাপে দর্শকদের জন্য বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা দিয়েছিলো কাতার সরকার। এর মধ্যে একটি হলো খোলামেলা পোশাক পরা যাবে না। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কাতারের আইন অনুযায়ী শাস্তির ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিলো। অথচ সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে খোলামেলা রূপে গ্যালারি মাতিয়ে চলেছেন এই ক্রোয়েশিয়ান সুন্দরী!
জানা গেছে, ইভানা নল নামের এই সুন্দরী সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া। নিজ দেশের খেলার সময় তিনি মাঠে উপস্থিত হন, আর উৎসাহ দেন লুকা মদরিচ ও তার সহযোদ্ধাদের। পোশাকের ব্যাপারে পশ্চিমা ধারাকেই বেছে নিয়ে নিজেকে আবেদনময়ী হিসেবে উপস্থাপন করছেন তিনি।
ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। এমন একটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি গ্যালারির সিঁড়ি বেয়ে নামছেন, আর তার দিকে চেয়ে আছেন কাতারের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি। এসময় ওই তরুণীর পরনে ছিলো ক্রোয়েশিয়ার জার্সির নকশায় একটি খোলামেলা টপস ও স্কিনফিট প্যান্ট। কাতারিদের এসময় স্বল্প বসনা এই সুন্দরীর ছবি তুলতেও দেখা যায়।
গণমাধ্যমকে ইভানা নল বলেন, ‘যদি এখানে (কাতার) বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে তাদের উচিত সেসব বিষয় নিশ্চিত করা, যা ভক্তদের স্বাচ্ছন্দ্যে রাখবে। কোনও সীমাবদ্ধতা থাকবে না। কিন্তু পরে এখানকার কিছু নিয়মের কথা শুনি এবং আমি বিস্মিত হই। কাঁধ, গলা, পেট এসব দেখা যায় এমন পোশাক পরিধানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে শুনে অবাক হয়েছি। আমার মনে হচ্ছিলো, সবকিছু ঢেকে রাখার মতো পোশাক তো আমার কাছে নেই।’
কাতারে আসার পর তিনি অবাকও হয়েছেন ইভানা। কারণ এখানে তার পোশাক নিয়ে সেরকম কোনও কড়াকড়ি নেই। শুধুমাত্র সরকারি ভবন ছাড়া যেকোনো জায়গায় নিজের ইচ্ছামতো পোশাক পরা যায়।
শুধু তাই নয়, ইভানা যখন গ্যালারিতে খোলামেলাভাবে নিজের আবেদন ছড়াচ্ছেন। ঠিক তখনই গ্যালারিতে ছিলেন আরব সংস্কৃতির চিরচেনা কালোে বোরকায় ঢাকা তরুণীরাও। তারাও নিজ নিজ দেশকে সমর্থন দিচ্ছিলেন। নিজ দেশ খেলায় না থাকলে প্রিয় দেশের হয়ে নিজেদের পর্দার মধ্যে থেকে ফাটিয়েছেন গলা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: