বিশ্বকাপের ফাইনালে ভিন্ন কিছু করতে পারে আর্জেন্টিনা: ফ্রান্স কোচ

দুঃসময় কাটিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে কাতার বিশ্বকাপে এসেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে হোঁচট খেয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। সেখান থেকে কোমর সোজা করে শুধু দাঁড়ানোই নয়, এরপর থেকেই রীতিমত উড়ছে লিওনেল মেসির দল। সেমি ফাইনালে পতিপক্ষকে নিয়ে রীতিমত ছেলে খেলা করেছে দলটি। সেই কারণেই এবারের আর্জেন্টিনার সঙ্গে আগের কোনো দলের তুলনা করার কোনো কারণই দেখছেন না ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম।
ফ্রান্সের সুখ স্মৃতি রয়েছে ২০১৮ বিশ্বকাপ। যেখানে শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল ৪-৩ গোলে। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে সেই আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফরাসিরা। তবে সেই দলের সঙ্গে আজকের আর্জেন্টিনাকে তুলনাই করতে চাইছেন না দিদিয়ে দেশম।
ফরাসি এই কোচ বলেন, ‘আর্জেন্টিনার এই দলের সাত জন ছিল ২০১৮ সালে। অবশ্যই এটা একই দল নয়। আমি তুলনায় যাচ্ছি না, কারণ এটি অনর্থক। সেই বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় খেলেছি আমরা। তবে এবার ছয়টি ম্যাচে ভিন্ন পদ্ধতিতে ও ভিন্ন খেলোয়াড়কে খেলিয়েছে আর্জেন্টিনা। আমাদের তিনজন পর্যবেক্ষক ছিল যারা কি না সব ম্যাচ দেখেছে। তাই খুব সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবো আমরা। আর্জেন্টিনা আগামীকাল ভিন্ন কিছু করতে পারে। এমনকি আমরাও।’
দেশম আরও যোগ করেন, ‘সেমিফাইনালের প্রথমার্ধে মরক্কো পাঁচজন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলেছিল, যা আগে কখনো করেনি। তাই আমাদের সব পরিস্থিতির জন্যই তৈরি থাকতে হবে।’
চার বছর আগে দেশমের তুরুপের তাস ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই ফরোয়ার্ড। পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুট জয়ের তালিকায় শীর্ষে তিনি। আবারও আর্জেন্টিনাকে তছনছ করে দিতে তৈরি হচ্ছেন ফাইনালে জন্য। তাই এমবাপ্পের মানসিক অবস্থায় কোনো ব্যাঘাত ঘটাতে চান না দেশম।
ফ্রান্স কোচ বলেন, ‘এমবাপ্পেকে যখন কথা বলতে হয়, তখন সে কথা বলে। তার প্রশান্তি ও নির্মলতার প্রয়োজন। মাঠে তাকে কী করতে হবে এ ব্যাপারে মনোযোগী সে। তার মনস্ত্বাত্তিক অবস্থা খুবই চমৎকার। সেখানে কোনো বিঘ্ন ঘটানোর ইচ্ছে আমার নেই। ’
লুসাইল স্টেডিয়ামে কাল বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ৮০ হাজারেরও বেশি দর্শকের সামনে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। গ্যালারির বেশিরভাগ আসনই থাকবে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের দখলে। তবে দেশম মনে করিয়ে দিলেন, গ্যালারিতে নয় মাঠে ১১ জনই তাদের প্রতিপক্ষ।
তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনা দল খুবই জনপ্রিয়। সব টুর্নামেন্টে এমন দল থাকেই। রবিবার স্টেডিয়ামে ফ্রান্স সমর্করা থাকলেও গ্যালারির বেশিরভাগ সমর্থকই থাকবে আর্জেন্টিনার। তাই একটি উৎসবময় পরিবেশের প্রত্যাশা করছি আমি। আর্জেন্টিনার লোকেরা আবেগী, তারা দলের পাশে থেকে পূর্ণ সমর্থন দেবে। এটাই উৎসবময় পরিবেশের সৃষ্টি করবে। ফাইনালের জন্য এমন বাতাবরণ থাকা ভালো। তবে আমাদের প্রতিপক্ষ গ্যালারিতে নয় মাঠে থাকবে। কালকের ম্যাচের পর দুই দলের মধ্যে এক দলে জার্সিতে তৃতীয় তারকা যুক্ত হবে।’
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: