আউট হয়ে টাইগারদের দিকে তর্জনী উঁচিয়ে তেড়ে এলেন কোহলি

আউটের পর টাইগারদের দিকে তর্জনী উঁচিয়ে তেড়ে এলেন কোহলি, দুই আম্পায়ার ও সাকিব তাকিয়ে রইলেন
ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলের লড়াইটা সব সময়-ই উপভোগ্য। আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানের লিড নিয়ে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে মাত্র ৩৭ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। শেষ বিকালে ভারতীয় গ্রেট ব্যাটার বিরাট কোহলিকে অল্পরানেই বিদায় করেন মিরাজ। এমন প্রাপ্তিতে তাই টাইগারদের উদযাপনটাও ছিলো বেশি। কিন্তু মেজাজ হারিয়ে খেপে যান বিরাট। আউট হয়ে ফেরার পথে থমকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাদের দিকেই ক্ষিপ্ত চোখে তাকিয়ে কিছু একটা বলছিলেন ভারতীয় ব্যাটিং স্তম্ভ।
শনিবার মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন বিকেলে ভারতের রান তাড়ায় ২০তম ওভারের ঘটনা সেটি। মিরাজ এর আগেই চেতেশ্বর পুজারা ও শুবমান গিলের উইকেট নিয়ে ভারতকে চেপে ধরেছেন। ওই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন কোহলিকেও। শর্ট লেগে দারুণ ক্যাচ নেন মুমিনুল হক। ভারতের ব্যাটিং জিনিয়াসকে এ দিন একটুও স্বস্তিতে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত তিনি আউট হন ২২ বলে ১ রান করে।
তাকে আউট করে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন মিরাজ। তার দিকে ছুটে যান লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহাননহ দলের সতীর্থরা। কোহলিও ফিরে যাচ্ছিলেন ড্রেসিং রুমে। কিন্তু একটু গিয়েই তিনি দাঁড়িয়ে যান। তার ডান পাশে একটু দূরে গোল হয়ে উদযাপনে ব্যস্ত থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাকিয়ে থাকেন অগ্নিদৃষ্টিতে। তবে ওই সময় বাংলাদেশ দল থেকে কেউ কোহলির দিকে কিছু বলেছেন কি না কিংবা মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কি না, তা বলা কঠিন। তবে কোহলিকে দেখা যায় ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু বলছে।
দ্রুত সেখানে ছুটে যান আম্পায়াররা। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা খেয়াল করার পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এগিয়ে যান কোহলির দিকে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে তখনও বেশ ক্ষিপ্ত দেখা যায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দিকে হাতের তর্জনী উঁচিয়ে তেড়ে গিয়ে কিছু একটা দেখিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। একটু পর অবশ্য তিনি হাঁটা দেন ড্রেসিং রুমের দিকে। তবে তখনও তার শরীরী ভাষায় দেখা যায় আগুন। ক্রুদ্ধ হয়ে কিছু একটা বলছিলেন তিনি, খুব ভালো কিছু তা হওয়ার কথা নয়।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের প্রতিনিধিরা অবশ্য একটুও আগ্রহ দেখালেন না ওই ঘটনায় কথা বলতে।
খেলার তৃতীয় দিন শেষে ভারতের স্কোর ৪৫ রানে ৪ উইকেট। চুতর্থ দিনে তাদের কারতে হবে আরও ১০০ রান। হাতে হাছে ছয়টি উইকেট। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের দরকার আরও ৬ উইকেট।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: