ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে টাইগার ৩ ক্রিকেটার

ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত একটি টেস্টে খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতক হাঁকান বাংলাদেশি ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ম্যাচে চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মিষ্টার ডিপেন্ডেবল। একই সাথে বোলিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেনরা। যার ফলশ্রুতিতে র্যাঙ্কিংয়ে বেশ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। মুশফিক, তাইজুল আর এবাদত-তিনজনই উঠে এসেছেন ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিংয়ে। তবে ব্যাটারদের তালিকায় পিছিয়ে গেছেন দেশসেরা ব্যাটার লিটন দাস।
বুধবার (১২ এপ্রিল) হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আইসিসি।
ঘরের মাটিতে সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেই টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে আইরিশদের শাসন করেন মুশফিক। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন অর্ধ-শতক। তার এমন পারফরম্যান্সের ছাপ দেখা গেল আইসিসির হালনাগাদকৃত টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও।
আইরিশদের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২৬ রান করেন মুশফিক। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এতে করে ৬৭৪ রেটিং নিয়ে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৭ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।
এটিই মুশফিকের ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিং। এর আগেও অবশ্য একবার ১৭ নম্বরে উঠেছিলেন মুশফিক। সেটি গত বছরের মে মাসে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর। তখন তার রেটিং ছিল ৬৭৫। তবে বাংলাদেশিদের মধ্যে তালিকার সবার ওপরে থাকা লিটন দাস দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬ নম্বরে নেমে গেছেন। ব্যাটিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে ৩৮ নম্বরে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান।
এদিকে মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টিসহ মোট ৯ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার তিন ধাপ এগিয়ে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন ২০ নম্বরে। এটিই তাইজুলের ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিং। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর তার র্যাঙ্কিং হয়েছিল ২১।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন এবাদত হোসেন। আইরিশদের বিপক্ষে টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে ১৫ ধাপ এগিয়েছেন এই পেসার। এখন তার অবস্থান ৬৭ নম্বরে। এটি তার ক্যারিয়ারসেরা অবস্থান।
এছাড়া আইরিশদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ২ ধাপ এগিয়েছেন সাকিব, আছেন ২৬ নম্বরে। দুই ধাপ এগিয়ে ৯০ নম্বরে শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের আগের দুই অবস্থানে যথাক্রমে খালেদ আহমেদ (৮৮, তিন ধাপ পিছিয়ে) ও তাসকিন আহমেদ (৮৯, দুই ধাপ পিছিয়ে)।
টেস্ট ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে আগের মতোই সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন। বোলারদের মধ্যে যথারীতি শীর্ষে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সাকিব। টেস্টে তিনি অলরাউন্ডারদের মধ্যে আছেন তিন নম্বরে। এছাড়া ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ৬ নম্বরে রয়েছেন আরেক স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: