পর্বতচূড়ায় বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী

পর্বতচূড়ায় বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী
ফিলিস্তিনের গণহত্যার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ালেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী জাফর সাদেক। দখলদার ইসরাইলের বিচার এবং স্বাধীন সার্বভৌম প্যালেস্টাইনের আত্মপ্রকাশ সময়ের দাবি বলে জানান তিনি। জাফর সাদেক ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের (২০০২-২০০৩) সেশনের শিক্ষার্থী।
১ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে ১৩ এপ্রিল স্থানীয় সময় সকাল ৮.৩০ মিনিটে নেপালের সলোখুম্ভু অঞ্চলে অবস্থিত লবুচে ইস্ট পর্বত শৃঙ্গ আরোহন করেন জাফর সাদেক।
পর্বতারোহী জাফর সাদেক বাংলাভিশনকে বলেন, আমার পর্বত চূড়ায় পৌঁছাতে ১৫দিন লেগেছিল। ১ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে ১৩ এপ্রিল সকাল ৮.৩০ মিনিটে পর্বত চূড়ায় পৌছি। ফিরতে আমার ৩দিন লেগেছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ এ সময়ে সেখানে যায়। আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। এর মধ্যে একজন ছিলেন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত আমেরিকান। ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানো দেখে সে আমাকে জড়িয়ে ধরে। কয়েকজন ইজরায়েলিদের সাথে কথা বলেছি। তারাও ফিলিস্তিনের উপর গণহত্যা সমর্থন করে না।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আমি ঢাকা কলেজের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে সকল শিক্ষার্থীদের বলবো এডভান্সার স্পোর্টসের দিকে আকৃষ্ট হতে। এডভান্সার স্পোর্টসের মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়া যায়। যার মাধ্যমে মানুষ নিজেকে চিনতে ও জানতে পারে। এর জন্য যারা আছে সবাইকে যে মাউন্টেইনে যেতে হবে ব্যপারটা এমন না। তাদের বলবো এমন কোন জায়গায় যাওয়া, যেখানে সে কখনো যায়নি।
উল্লেখ্য, তিনি ২০০১ সালে ঢাকার পর্বতারোহণ ক্লাব মাউন্টেইন মেডনেড প্রতিষ্ঠা করেন। এই ক্লাবের হয়েই নেপালে যাওয়া শুরু করে ২০১৭ সাল থেকে। তার ইচ্ছা পৃথিবীর সাত মহাদেশের ৭টি পর্বতমালা জয় করা। ইতোমধ্যেই তিনি তিনটি মহাদেশের ৩ পর্বত চূড়াসহ হিমালয় ও ককেশাস পর্বতমালায় বেশকিছু অভিযান করেছেন। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মাত্র পনের দিনের ব্যবধানে ইউরোপ মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এলব্রুস এবং আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমানজারো আরোহণ করেন। এরপর ২০২২ সালে হিমালয়ের মেরা পর্বত এবং ২০২৪ সালের ১৯ জুন ভারতের ফ্রেন্ডশিপ পর্বত জয় করেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: