• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জীবন সংগ্রামে হার না মানার প্রতীক লেগুনা ড্রাইভার মুক্তি রানী

শেফালী মিতু

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ১ মে ২০২৩

আপডেট: ১২:২৮, ১ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
জীবন সংগ্রামে হার না মানার প্রতীক লেগুনা ড্রাইভার মুক্তি রানী

জীবন সংগ্রামে হার না মানার প্রতীক আশুলিয়া এলাকার লেগুনা ড্রাইভার মুক্তি রানী। যাত্রী খোঁজা, ভাড়া তোলা এবং লেগুনা চালনা সব নিজেই করেন এটি কোনো সিনেমা নয়, রুটি-রুজি খুঁজে তাই করছেন মুক্তি রানী। অন্য নারীদেরও এ পেশায় আনার অভিপ্রায় তার। তাঁর বিশ্বাস নারী চালকের সংখ্যা বাড়লে গণপরিবহনে কমবে নারী যাত্রী হয়রানি। 

আশুলিয়া সড়কে এক নারী লেগুনা ড্রাইভারের যাত্রী ডাকার ব্যস্ততা দেখে থমকে দাঁড়াতে হয় অনেককে। নিজেই হেলপার, নিজেই ড্রাইভার। লেগুনারচালকের আসনে নারী দেখে বাঁকা চোখে তাকানোর লোক কম নয়। ব্যস্ত সড়কে মুক্তি রানী দক্ষ হাতে প্রায় এক বছর ধরে লেগুনা চালান সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। 

টাঙ্গাইল ঘাটাইলে প্রত্যন্ত দরিদ্র ঘরে মুক্তির জন্ম। স্কুলে গেলেও এসএসসি পার হতে পারেননি। অভাবের তাড়নায় ১২-১৩ বছর বয়সে পোশাক কারখানায় কাজ করতে চলে আসেন আশুলিয়ায়। কিন্তু লাঞ্চনা ও অমানবিক পরিশ্রম সইতে না পেরে এক পর্যায়ে জীবন গেঁথে যায় লেগুনায়। তার স্বামী তপন চন্দ্র বিশ্বাস কাজ করেন পোশাক কারখানায়। থাকেন এক রুমের বাসায়। পড়ালেখা শিখিয়ে মুক্তি রানী সন্তানদের করতে চান দেশের যোগ্য নাগরিক। 

মুক্তির দিন শুরু হয় কাকডাকা ভোরে। দিনের রান্না শেষ করে সামান্য কিছু মুখে দিয়েই বেরিয়ে পড়েন লেগুনা নিয়ে। এ অদম্য চলায় স্বামীসহ স্বজনরা পাশে থাকায় যারপরনাই স্বস্তি মুক্তি রানীর। 

সাবধানতার অংশ হিসেবে রিজার্ভ বা চুক্তিতে গাড়ি চালান না তিনি। অনেক সময় রাতে বাড়ি ফিরতে হয় বলে জীবন গাড়ি নিয়ে ভয়ে থাকতে হয় মুক্তি রানীকে। 


 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2