চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ: তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই

ছবি: সংগৃহীত
গত দুদিন যাবত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। এতে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এ জেলার জনপদ। কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা অস্থির হয়ে পড়ছেন রোদের তাপ ও ভ্যাপসা গরমে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিক ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ২৮ শতাংশ।
এর আগে গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি মৌসুমে যা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে আগামী ৪-৫ দিন জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়ে চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরও ৪-৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে এই তাপপ্রবাহ। আগামী দুদিন তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।
অপরদিকে তাপপ্রবাহের কারণে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তার মোড়ে ভ্রাম্যমাণ এক শরবত বিক্রেতা গণমাধ্যমকে বলেন, গরমে শরবতের চাহিদা বেড়েছে। তবে লোকজন খুবই সীমিত চলাচল করছে।
একজন ইজিবাইক চালক গণমাধ্যমকে বলেন, দুদিন ভ্যাপসা গরম পড়ছে। যাত্রী খুবই কম হচ্ছে আগের তুলনায়। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বেলা বাড়ার সাথে সাথে।
আকাশ নামে একজন ডাব বিক্রেতা গণমাধ্যমকে বলেন, গরমে প্রচুর পরিমাণ ডাবের চাহিদা বেড়েছে। তবে অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে হচ্ছে। এক পিস ডাব ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবুও চাহিদা রয়েছে। যতো গরম পড়বে ততো চাহিদা বাড়বে।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: