আপনি জানেন কী, ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয় কেন?

প্রতীকী ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে ঘুর্ণিঝড় অশনি। যা শক্তি সঞ্চার করে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে। এই মুহূর্তে সবার চোখ সেই ঘূর্ণিঝড়ের দিকে। দেয়া হয়েছে নানা সতর্কাবার্তা, রাষ্ট্রীয়ভাবে নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপও।
ঘূর্ণিঝড় অশনি’র নামকরণ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম অনুসারে। এখন অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে, কেন ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখতে হলো? কেনইবা বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ঝড়ের নাম দিলো শ্রীলঙ্কা। সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি আমরাও।
যে কারণে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়:
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করতে পূর্বে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর সময় বা তারিখসহ বিভিন্ন আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে হয় আবহাওয়াবিদদের। কিন্তু নামবিহীন থাকলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি, ধরন সম্পর্কে পরবর্তীতে তথ্য জানা কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়ে।
সে জন্য বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) ছয়টি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করেছে। আরএসএমসি তার সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়ে থাকে। তালিকা পেলে দীর্ঘ সময় যাচাই-বাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়।
যেভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়:
২০০৪ সালে প্রথমবার নামকরণ শুরুর সময় ৬৩টি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। সেগুলো শেষ হলে ২০২০ সালের এপ্রিলে সম্ভাব্য ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকার অনুমোদন দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। এই তালিকার নামগুলো প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ। বাকি ১২টি দেশ হলো ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। যার মধ্যে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছে গেলো বছর বাংলাদেশ-ভারত উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্পান।
কখন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়?
সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ প্রথমে নিম্নচাপে পরিণত হয়। শক্তিশালী হয়ে উঠলে নিম্নচাপটি এরপর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। তখনই তালিকায় আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখা একটি নাম দেওয়া হয়ে থাকে ঘূর্ণিঝড়টির। সাধারণত আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এমন নামে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়ে থাকে। কোনো নামেরই পুনরাবৃত্তি করা হয় না।
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: