৯০-৯৫ কি.মি. গতিতে বাংলাদেশের উপকূলে ধেয়ে আসছে সিত্রাং

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ৯০-৯৫ কিমি গতিবেগে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকুলে। পটুয়াখালীর খেপুপাড়া হয়ে চট্টগ্রাম বরিশালের উপকূল দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে উপকূলে বেড়েছে বাতাসের তীব্রতা, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মালামাল।
সিত্রাংয়ের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। তবে ভাটার কারনে কিছুটা কমেছে জোয়ারে চাপ। আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করছে বাতাসের গতিবেগ। পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে গতকাল মধ্যে রাত থেকে ভারি বৃষ্টি সাথে হালকা দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই বাতাসের গতিবেগ আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করছে। তাই সৈকত রক্ষা বেড়িবাঁধের বাহিরে থাকা সকল দোকান পাট সরিয়ে নিচ্ছে দোকানিরা। এদিকে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে কলাপাড়ার উপজেলার লালুয়া, চম্পাপুর ও ধানখালী ইউনিয়নের প্রায় আট-দশটি গ্রাম।
এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মানুষকে নিরাপদে চলে আসার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংকর চন্দ্র বৌদ্ধ।
তিনি আরো জানান, সকাল ১০টায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে ইতোমধ্যে আমরা সেমিনারের আয়োজন করছি। তাতে স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে সকলে ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে মানুষদের সরিয়ে নেয়া হয়। যার জন্য উপজেলায় ১৭৫টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে ও তিনশো জনকে ইতোমধ্যে শুকনা খাবারের ব্যাবস্থা করে স্বেচ্ছাসেবী টিম মাঠে পাঠানো হয়েছে।
পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৭ নম্বর হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে দেশব্যাপী মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলার কারনে সকল ট্রলার ও নৌকা নিরাপদে রয়েছে এবং কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদেরকেও নিরাপদে থেকে ভ্রমনের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: